বঙ্গবাজার অ্যানেস্কো টাওয়ারের নিচতলার ব্যবসায়ী সীমান্ত ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আক্কাস আলীর কণ্ঠে নেয়ামাত হোসেনের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল। আক্কাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেখতেই পাচ্ছেন বাজারে ক্রেতা নেই। অধিকাংশ ব্যবসায়ী অনেকটা অলস সময় পার করছেন। দিনে যেখানে লাখ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা সেখানে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেচাকেনাকে ভালো বলা যাবে না। তবে গতবার তো আগুনের পর ব্যবসাই করতে পারিনি। সেই তুলনায় এখন ভালো আছি বলতে হবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি ইউনিটে (বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মহানগর ও আদর্শ) সব মিলিয়ে দোকান ছিল ২ হাজার ৯৬১টি। এ ছাড়া মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে ৭৯১টি, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে ৫৯টি ও বঙ্গ হোমিও কমপ্লেক্সে ৩৪টি দোকান আগুনে পুড়েছে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪৫টি দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বঙ্গবাজারে ক্ষতের পরিমাণ ছিল ৩০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মালপত্রের ক্ষতি হয়েছে ২৮৮ কোটি টাকার বেশি। আর মার্কেটগুলোয় অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ ছাড়া দোকানের মালিক-কর্মচারীদের মানবিক ও মানসিক বিপর্যয়সহ ক্ষতির পরিমাণ এবং চাকরিহীনতার আর্থিক মাপকাঠি নিরূপণ করা দুরূহ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।