মুখতার আনসারিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ 

মুখতার আনসারিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ 

মুখতার আনসারিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ 

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন দেশটির গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মুখতার আনসারি। তবে আনসারির পরিবারের অভিযোগ, স্লো পয়জন বা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে তাকে। 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুখতার আনসারি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকের ফলে মৃত্যুবরণ করেছেন মুখতার আনসারি।

তবে এই দাবি অস্বীকার করে তার ছেলে উমর আনসারি অভিযোগ তুলে বলেছেন, আমার বাবাকে ধীরে ধীরে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি আজও আমরা একই কথা বলব। গত ১৯ মার্চ তার রাতের খাবারে বিষ মিশানো হয়েছিল। আমরা এর বিচার চাই। আমরা বিচার বিভাগের কাছে যাব।

মুখতার আনসারির ছোট ভাই আফজাল আনসারি বলেছেন, মুখতার বলেছিলেন যে, জেলে তার খাবারে বিষাক্ত পদার্থ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৪০ দিন আগেও তার খাবারে বিষ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯ মার্চ আবারও তার খাবারে বিষ দেওয়া হয়। যার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।  মুখতার আনসারির আইনজীবীরা এই মাসের শুরুতে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন যে, বান্দা জেলে তার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে এবং তাকে তার খাবারের সাথে কিছু বিষাক্ত পদার্থ খাওয়ানো হয়েছিল।

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির পরিবারের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে মুখতার আনসারি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মউ, গাজিপুর এবং বারানসী জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাতেই এক জরুরি বৈঠক ডাকেন।

উত্তর প্রদেশের মৌ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ২০০৫ সাল থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ টি খুনের অভিযোগ ছিল। তিনি ১৯৯০ এর দশকে নিজের একটি দল গঠন করেন যা বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও অপহরণের সাথে জড়িত ছিল। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে গাজিপুরের তৎকালীন বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইসহ ৭ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুখতারের বিরুদ্ধে।

Scroll to Top