ভোটের প্রচারে গিয়ে নারীকে চুমু দিলেন বিজেপি প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল | চ্যানেল আই অনলাইন

ভোটের প্রচারে গিয়ে নারীকে চুমু দিলেন বিজেপি প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল | চ্যানেল আই অনলাইন

ভোটের প্রচারে গিয়ে নারীকে চুমু দিলেন বিজেপি প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল | চ্যানেল আই অনলাইন

কাউকে চুমু খাচ্ছেন, তো কারও খোলা পিঠে অশ্লীলভাবে হাত দিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর এমনই ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। এই ছবি ও ভিডিওকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, প্রচাররত খগেন মুর্মুর এমন একাধিক আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘এভাবেই নারীদের সম্মানে ব্যস্ত মোদির পরিবার।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুখে নারী সম্মানের কথা বললেও মহিলাদের ভোগের চোখে দেখে বিজেপি’, বারবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সমালোচনা করছে বিরোধীরা। এরই মাঝে সোশাল মিডিয়ায় খগেন মুর্মুর যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলার খোলা পিঠে হাত রেখে ঘনিষ্ঠভাবে তার সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন খগেন। আরও একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলাকে ধরে চুম্বন করছেন মালদহ উত্তরের প্রার্থী।

আপত্তিকর এই ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তৃণমূলের নেতারা লেখছেন, ‘যাকে আপনি দেখছেন, তিনি মালদহ উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। প্রচারে বেরিয়ে ইনি মহিলাদের চুম্বন করছেন। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা করা সাংসদ থেকে শুরু করে বাঙালি মহিলাদের নিয়ে গান, বিজেপিতে নারীবিরোধী নেতার অভাব নেই। এভাবেই নারীদের সম্মানে ব্যস্ত মোদি পরিবারের সদস্যরা। ভেবে দেখুন, এরা ক্ষমতায় এলে কী করতে পারে।’

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও’র নারী অবশ্য স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের সাথে কথা বলার সময় ঘটনাটিকে ‘স্নেহের কাজ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার বয়সী একজন যদি আমার প্রতি তার স্নেহ দেখায় এবং আমার গালে একটি চুমু দেয় তাহলে সমস্যা কোথায়? কেন মানুষের এমন নোংরা মানসিকতা? এতে দোষের কিছু নেই।’

ভিডিও নিয়ে কথা বলেছেন খগেন মুর্মুও। তিনি বলেন, ‘ওটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। বাচ্চাকে সবাই আদর করে। ও বাচ্চা মেয়ে আমার খুব কাছের এবং পরিচিত। ঘটনার সময় মেয়েটির বাবা-মাও সঙ্গে ছিল। তৃণমূল ওই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে নারী জাতিকে অপমান করেছে।’

Scroll to Top