ভারতে ২৯ জন মাওবাদী নিহতের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে | চ্যানেল আই অনলাইন

ভারতে ২৯ জন মাওবাদী নিহতের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে | চ্যানেল আই অনলাইন

ভারতে ২৯ জন মাওবাদী নিহতের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে | চ্যানেল আই অনলাইন

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত কাঙ্কের জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৯ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই সংঘর্ষে তিনজন নিরাপত্তারক্ষীও আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষ-স্থল থেকে লাইট মেশিন গান, একে ফর্টি সেভেনসহ প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে বড় অংশ ছিল বিএসএফ সদস্য, সাথে ছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড-এর সদস্যরা।

পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাঙ্কেরের ছোটেবেতিয়া এলাকায় সন্দেহভাজন মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষটি শুরু হয়। নিহতরা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র সদস্য বলেও জানায় পুলিশ।

বস্তারে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে ১৯ এপ্রিল, আর তার ঠিক আগেই এই সংঘর্ষটি হলো। প্রতিবারের মতো এবারও মাওবাদীরা নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে।

যে মাওবাদী গেরিলারা এই সংঘর্ষে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে শঙ্কর রাও এবং ললিতা মাড়ভি রয়েছেন বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এদের একেকজনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২৫ লাখ ভারতীয় রুপি করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। সংঘর্ষের পর রাতে বিজেপির এক স্থানীয় নেতাকে হত্যা করেছে সন্দেহভাজন মাওবাদী গেরিলারা।

বিএসএফের অভিযান
বস্তার পুলিশের আইজিপি সুন্দররাজন জানান, মাওবাদী আর নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৯ জন মাওবাদীর লাশ আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। ইনসাস, কার্বাইন আর একে ফর্টি সেভেনের মতো অস্ত্রশস্ত্র বিপুল পরিমাণে পাওয়া গেছে। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানান তিনি।

ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী পাকিস্তান আর বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও অনেক বছর ধরেই তারা মধ্যভারতের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাতেও কাজ করে। এজন্য তাদের একটি পৃথক কমান্ডও আছে, যার নাম ‘অ্যান্টি নকশাল থিয়েটার’ বা এএনটি। তারাই মঙ্গলবারের অভিযানে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল।

বিএসএফের ডিআইজি আলোক সিং বলেন, আমরা আক্রমণ করার পদ্ধতিটা বদলে সাফল্য পেয়েছি। এই অপারেশনে বিএসএফের গোয়েন্দা বাহিনীর মুখ্য ভূমিকা ছিল। দু’দিন ধরেই বিএসএফ আর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড সদস্যরা এই অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা যে কায়দায় ওদের ওপরে আক্রমণ করেছি, সেটা মাওবাদীরা কল্পনাও করতে পারেনি। ওই সংঘর্ষে আহত মাওবাদীদের খুঁজে বরে করতে আরেকটা অপারেশনও শুরু করব খুব তাড়াতাড়ি।

অমিত শাহর অভিনন্দন
ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এই অপারেশনের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক নকশাল মারা গেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে এই অভিযানকে সফল করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আহত নিরাপত্তা কর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

তিনি বলেন, উন্নয়ন, শান্তি ও যুব-সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় শত্রু নকশালবাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা দেশকে নকশালবাদের কবল থেকে মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। সরকারের আগ্রাসী নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার ফলে আজ নকশালবাদ একটি ছোট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। শীঘ্রই ছত্তিশগড় এবং গোটা দেশ সম্পূর্ণ নকশাল মুক্ত হবে।

এছাড়া ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাই জানান, সংঘর্ষের এলাকাটি বস্তার আর কাঙ্কের- এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রেরই কাছাকাছি অবস্থিত। বস্তারে নির্বাচনের আর মাত্র দু’দিন বাকি। অতীতে, মাওবাদীরা বস্তারে নির্বাচন বয়কট করাসহ নানাভাবে নির্বাচনি ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। এবারও তারা একটা কোনও বড় ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল, যা সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ বানচাল করে দিয়েছে।

অন্যতম সফল মাওবাদী বিরোধী অভিযান
মাওবাদী বিরোধী সফল অভিযানগুলির অন্যতম হিসেবে এটিকে দেখছে তারা। তাদের কথায়, শীর্ষ মাওবাদী নেতা শঙ্কর, ললিতা ও রাজুর উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। এর আগে ৩ এপ্রিল বিজাপুরে একটি সংঘর্ষে ১৩ জন মাওবাদী নিহত হওয়ার দাবি করেছিল পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল কাঙ্কেরে পুলিশের গুলিতে তিনজন মাওবাদী নিহত হন।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুধু বস্তারেই ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিধানসভার স্পিকার রমন সিং এটিকে মাওবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, এটিকে ছত্তিশগড় এবং দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে আমি মনে করি। নকশাল হিংসা বন্ধে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

মাওবাদীরা কি নকশাল?
মাওবাদীদের উল্লেখযোগ্য অংশ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’র (মাওবাদী) সদস্য। মাও জেদংয়ের চিন্তাধারা মেনে চলেন, এমনই দাবি করেন ২০০৪ সালে তৈরি হওয়া এই দলটির সদস্যরা। অনেকেই এদের ‘নকশাল’ও বলে থাকেন।

তবে মাওবাদী আর নকশালপন্থীদের মধ্যে একটা ফারাক আছে। ‘নকশাল’ কথাটা এসেছে ষাটের দশকের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয়, নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা একটা ছোট গ্রাম নকশালবাড়ি থেকে। দার্জিলিং পাহাড়ের কোল ঘেঁষা ওই গ্রামটিতে ১৯৬৭ সালের ২৫-এ মে সেখানে এক কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে গরীব আদিবাসী কৃষকরা জমির স্বত্ব পেয়েছিলেন, কিন্তু স্থানীয় জমিদারদের লোকেরা ওই আদিবাসীদের ওপরে হামলা চালায়। পাল্টা হামলা চালায় কৃষকরাও। ওই ঘটনাকেই ‘নকশালবাড়ি’ আন্দোলনের সূত্রপাত বলে ধরা হয়।

তার কয়েক বছর আগে, ষাটের দশকের মাঝামাঝি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছিল, অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি সিপিআই ভেঙ্গে জ্যোতি বসু, মুজফফর আহমেদরা গড়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) বা সিপিআইএম।

এই নতুন দলটিরই উত্তরবঙ্গের এক তাত্ত্বিক নেতা ছিলেন চারু মজুমদার। দলীয় নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে নকশালবাড়ির কৃষকদের বিদ্রোহকে সমর্থন জানান তিনি। সঙ্গে পেয়েছিলেন দলেরই আরও কয়েকজন নেতাকে। তাদের নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকায়, অন্ধ্রপ্রদেশ আর বিহারে।

সেই সশস্ত্র আন্দোলনে মূলত ছাত্র এবং যুবকরাই সামিল হয়েছিলেন, যদিও গ্রামের কৃষকদের মধ্যেও তারা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিল। এরপরে ১৯৬৯ সালে ভ্লাদিমির লেনিনের জন্মদিন ২২ এপ্রিল গঠিত হয় নতুন পার্টি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)। এই দলটিকেই নকশাল বলা হয়ে থাকে, যার প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন চারু মজুমদার।

এই দলটি ছোট ছোট দল বা স্কোয়াড বানিয়ে সশস্ত্র গেরিলা অভিযান চালাতো। নির্বাচনি ব্যবস্থা, সংসদীয় গণতন্ত্রকে বয়কট করার কথা বলত নকশালরা। কয়েক বছরের মধ্যেই অবশ্য ওই আন্দোলন দমন করে চারু মজুমদারসহ শীর্ষ নেতাদের হয় এনকাউন্টারে মেরে ফেলে অথবা জেলে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু আন্দোলন পুরোপুরি স্তব্ধ করা যায়নি। নানা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে নকশালবাদীদের কার্যক্রম।

অন্যদিকে দলের মধ্যে নানা ইস্যুতে শুরু হয় ভাঙন। নকশালপন্থীদের ঠিক কতগুলো গোষ্ঠী রয়েছে, তার হিসাব দেওয়া কঠিন। তবে সবচেয়ে বড় নকশালপন্থী দল হিসাবে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনকে মনে করা হয়ে থাকে।

মাওবাদী পার্টি গঠন
নকশালপন্থীদের এরকমই একটি গোষ্ঠী ছিল পিপলস্ ওয়ার গ্রুপ বা জনযুদ্ধ গোষ্ঠী। এরা মূলত অন্ধ্র প্রদেশ, বর্তমানের তেলেঙ্গানা এবং মধ্য ভারতের দান্তেওয়ারা, বস্তারের মতো এলাকাগুলোতে কাজ করত।

আবার সিপিআই (এম-এল) যখন গঠিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে, সেখানে উগ্র বামপন্থী মতাদর্শের নানা গোষ্ঠী যোগ দিলেও ওই দলে কখনই যোগ দেয়নি ‘দক্ষিণ দেশ’ বলে একটি গোষ্ঠী। ওই নামের একটি পত্রিকা বের করত তারা। পরে, এই দক্ষিণ দেশ গোষ্ঠীটিই নিজেদের নাম দেয় মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার বা এমসিসি। এদের সঙ্গে মিশে যায় সিপিআই (এম-এল) পার্টি ইউনিটি নামের আরেকটি নকশালপন্থী দল।

জনযুদ্ধ আর এমসিসি দুই গোষ্ঠী মিলে গিয়ে সিপিআই (মাওবাদী) গঠন করে ২০০৪ সালে।

একদিকে যখন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের মতো অনেক নকশালপন্থী দলই তাদের পুরানো মতাদর্শ বদলে নির্বাচন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নেয়, মাওবাদী পার্টি জনযুদ্ধের আদর্শ নিয়েই থেকে যায়। এই দলটির রাজনৈতিক শাখা ছাড়াও একটি সামরিক কমিশন আছে, যারা গেরিলা যুদ্ধ বা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে কোনও হামলা চালানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

যদিও সামরিক কমিশনটিকে নিয়ন্ত্রণ করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরো। সামরিক কমিশনের অধীনেই গেরিলা যুদ্ধ চালায় পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি বা পিএলজিএ। এছাড়াও ভারতের মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল নেপালের মাওবাদীদেরও।

সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল জানাচ্ছে, ২০০০ সাল থেকে এ বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে মারা গেছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে মাওবাদী গেরিলা, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিকরাও আছেন।

মাওবাদী পার্টি গঠিত হওয়ার পর থেকে মধ্যভারত, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ আর মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। প্রভাবিত এলাকাগুলির মধ্যে মাওবাদী পার্টির সব থেকে বেশি কড়া নিয়ন্ত্রণ ছিল ছত্তিশগড়-মহারাষ্ট্র-অন্ধ্র প্রদেশের ত্রিসীমানায় অবস্থিত দণ্ডকারণ্য এলাকা। ওই এলাকাটি একটা সময়ে সম্পূর্ণভাবে মাওবাদী পার্টিই নিয়ন্ত্রণ করত। সরকারের কোনও অস্তিত্বই চোখে পড়ত না।

মাওবাদী পার্টি সেখানে ‘জনতানা সরকার’ বা জনগণের সরকার চালাত। তাদের নির্দেশ আর পরিকল্পনা মতোই চলতে হতো সবাইকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে মাওবাদীরা। তার আমলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য বাহিনীগুলো সমন্বয় করে ২০০৯ সালে শুরু করে এক দীর্ঘকালীন অভিযান, যার নাম সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে অপারেশন গ্রিন হান্ট।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যেমন এই অঞ্চলে কাজ করে বিএসএফ, তেমনই আছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী বা সিআরপিএফও। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকের মারা যাওয়া বা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অথবা আত্মসমর্পণ করার ফলে মাওবাদীদের ব্যাপক শক্তিক্ষয় হয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে এখনও মধ্যভারতের বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে।

অন্যদিকে তারা যেসব এলাকা একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, সেখানে প্রবেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীও। সেখানে এখন ভোট নেওয়া হয়, তৈরি হয়েছে রাস্তাও। একই সঙ্গে গেরিলাদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অথবা অতর্কিত হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বড়সড় প্রাণহানিও হয়েছে।

Scroll to Top