নঈমুল-মৌসুমীর স্থাপত্য ভুবন – আনন্দ আলো

নঈমুল-মৌসুমীর স্থাপত্য ভুবন – আনন্দ আলো

আমজনতার জন্য সহজ সরল স্থাপত্য নির্মাণ করে যাচ্ছেন স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান এবং স্থপতি ফারজানা রহমান (মৌসুমী)। তারা বন্ধু এবং স্বামী-স্ত্রী। দুজনেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। তাদের রয়েছে ‘স্পেটিয়াল আর্কিটেক্টস’ নামের একটি কনসালটেন্সি ফার্ম। দুজনেই এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যের ডিজাইন করেছে। স্থাপত্যের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সরলতা। নান্দনিকতার পাশাপাশি ব্যবহারিক সুবিধাটার দিকে বেশি নজর দেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন তারা। এবার শাহ্ সিমেন্ট নির্মাণে আমিতে এই যুগলকে নিয়ে প্রতিবেদন। লিখেছেন- মোহাম্মদ তারেক

ইট, কাঠ, বালু, কংক্রিটের মাঝে খুঁজে ফেরেন প্রকৃতির সানিড়বধ্য। আর তাই তাদের প্রতিটি স্থাপত্যে থাকে সবুজের ছোঁয়া। প্রতিটি নকশার ক্ষেত্রে আলো, বাতাস, সবুজ প্রকৃতি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এই স্থপতি দম্পতি। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান। তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। নঈমুলের বাবার নাম ছাবের আহমেদ খান। মা তহমিনা বেগম। তাঁর মা-বাবা দুজনেই স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। সৃজনশীল কোনো কিছু করার উদ্দেশ্যে আর্কিটেক্ট হওয়া তার। নাপোড়া সেখেরখীল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগে। ২০০৬ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাশ করে বের হওয়ার পরপরই তিনি যোগ দেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডে। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর যোগ দেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগে। সেখানে দুই বছর শিক্ষকতা করেন। ২০০৫ সালে বুয়েটে পড়ার সময় নঈমুল, আশরাফ, রানা, মেহেদী চার বন্ধু মিলে শেরেবাংলা হলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘মাত্রা আর্কিটেক্টস’ নামের একটি ফার্ম। এক পর্যায়ে সবাই যে যার মতো কাজ করার পর বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। স্থপতি ফারজানা রহমান (মৌসুমী) তিন ভাইবোনের মধ্যে মেঝ। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। মৌসুমীর বাবার নাম মো: ফজলুর রহমান। তিনি ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। মা পারভীন রহমান গৃহিনী। ১৯৯৭ সালে নারায়নগঞ্জ সরকারি গার্লস হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯৯ সালে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন।


সম্পর্কিত

স্থপতি ফারজানা রহমান ২০০৭ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাস করে বের হওয়ার তিনি যোগ দেন বর্তমান সরকারের চিফ আর্কিটেক্ট মীর মঞ্জুরুর রহমানের অধীনে ‘এ এন্ড এম আর্কিটেক্টস’ প্রতিষ্ঠানে। সেখানে তিনি চার বছর কাজ করেন। ২০০৯ সালে স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান স্ত্রী স্থপতি ফারজানা রহমান মৌসুমীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘স্পেটিয়াল আর্কিটেক্টস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

তাঁদের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের ‘শিকড়’ একটি গ্রামের বাড়ি, চট্টগ্রামের ‘চন্দনপুরায় কিছুক্ষণ’একটি বহু পরিবার আবাসিক ভবন, নরসিংদীতে বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে টি রিসোর্ট ও মিউজিয়াম, পঞ্চগড়ে চিলাহাটি রেল ওয়ে স্টেশন, খুলনায় গজালিয়া মসজিদ, বাংলাদেশে ফায়েল খাইর প্রোগ্রামের আওতায় ৩০০টি বিদ্যালয় ও ঘুর্নীঝড় আশ্রয় কেন্দ্র (একটি সৌদি অর্থায়নে নির্মিত প্রকল্প), রাজশাহীতে নেসকো প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও প্রধান কার্যালয় ভবন (চলমান), স্মার্ট গ্রুপ প্রধান কার্যালয়ের নকশা ও অন্দর সজ্জা সহ দুই শতাধিক আবাসিক বানিজ্যিক, ধর্মীয় ও কারখানা ভবনের ডিজাইন এবং অন্দর সজ্জা করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।এছাড়াও বর্তমানে বেশ কিছু নতুন প্রজেক্টের কাজ করছেন তারা। স্থাপনার কাজে ‘স্পেটিয়াল আর্কিটেক্টস’ এর রয়েছে অসম্ভব সাফল্য। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক কাজে অংশ নিয়ে তাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তাদের সাফল্যের ঝুঁড়িতে জমা হয়েছে সেরা কর্মের স্বীকৃতি। উল্লেখযোগ্য অ্যাওয়ার্ড গুলোর মধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক: ২০২১ সালে ইউরেশিয়ান পুরস্কার, ২০২০ সালে আর্কিটেকচার মাস্টার প্রাইজ, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় ফায়েল খাইর প্রোগ্রাম, বিদ্যালয় ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এর জন্য প্রম পুরস্কার।

স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, বড় সর্দার বাড়ি এই স্থাপনাকে আমরা সবাই ঔপনিবেশিক আমলের বলে জানতাম। কিন্তু পরে গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে আদতি পূর্ববর্তী একটি মুসলিম বসতির ওপর নির্মিত হয়েছিল এই বাড়ি। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার অধিগ্রহণ করার আগপর্যন্ত ধ্বংস প্রায় এই স্থাপনা প্রায় অব্যবহৃতই পড়েছিল। আশির দশকের গোড়ার দিকে এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার এবং সংস্কার করে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। পরে এটিকে জাতীয় লোক শিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘরে পরিণত করা হয়।

জাতীয়: ২০২০ সালে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট কমেন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড, ২০২৪ সালে জাতীয় স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় রাজশাহীর নেসকো প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও প্রধান কার্যালয় ভবন এর জন্য প্রম পুরস্কার, ২০১৩ সালে জাতীয় স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ভবন এর জন্য তৃতীয় স্থান, ২০১৮ সালে জাতীয় স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় পরমানু শক্তি কমিশন ভবন এর জন্য বিশেষ সম্মাননা, ২০১৫ সালে জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থাপনের ভাস্কর্য ডিজাইন প্রতিযোগিতায় সংক্ষিপ্ত তালিকা ভুক্ত ইত্যাদি।

স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান ও ফারজানা রহমান (মৌসুমী)
স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান ও ফারজানা রহমান (মৌসুমী)

‘শিকড়’ নামক প্রকল্পটি স্পেটিয়াল আর্কিটেক্টস এর একটি বহুল আলোচিত প্রকল্প। বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অদূরে বাঁশখালী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ পুইছড়ি গ্রামে শিকড়ের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিরায়ত গ্রামীণ বসত বাড়ির সমসাময়িক রূপ হিসেবে শিকড়কে গড়ে তোলা হয়েছে। এই স্থাপনা নির্মাণের নেপথ্যে রয়েছে আবহমান বাংলার প্রাকৃতিক নির্যাস, কৃষি ভিত্তিক পারিবারিক অবকাঠামোর স্বরূপ ও ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিময়তা। পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্যের সাথে নতুন প্রজন্মের সংযোগ স্থাপন এই স্থাপনার অন্যতম লক্ষ্য। ছুটি কিংবা অবসর কালীন সময়ে গ্রামীণ জীবনের স্বরূপ উপভোগ ও কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাতে শিকড়কে হৃদয়ের সবটুকু শিল্প রূপ দিয়ে ঢেলে সাজিয়েছেন স্থপতি দম্পতি।

প্রকল্পের মূল অংশ হল একটি অভ্যন্তরীণ পুকুর যা একটি ঐতিহ্যবাহী জলঘাটের দার্শনিক রূপক। পোড়ামাটির ইট, অতীতে ব্যবহৃত বিভিনড়ব সরঞ্জাম, পুরানো বাড়ি থেকে উদ্ধার পুর্নব্যবহৃত কাঠের তৈরি আসবাবপত্র এই ভবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পুরো প্রকল্পটি ব্যয় সাশ্রয়ী ও একই সাথে পুরনো ঐতিহ্য ও স্মৃতিতে জাগিয়ে তোলার মতো। ‘শিকড়’ প্রকল্পটি সম্পর্কে স্থপতি নঈমুল আহসান খান বলেন, এমন একটি ভবন আমরা করতে চেয়েছি যা গ্রামের পরিবেশের সাথে মিশে থাকবে। স্থাপত্য বিদ্যার শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের স্থাপত্যিক ঐতিহ্যকে সমসাময়িক রূপ দিতে চেষ্টা করেছি। ‘শিকড়’ ইতোমধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। তবে শিকড়ের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো গ্রাম উনড়বয়নে প্রত্যক্ষ অবদান রাখতে পারা। শিখড়কে উপলক্ষ করে ২০১৮ সাল থেকে বাঁশখালীর এই অবহেলিত জনপদ বদলে যেতে শুরু করেছে। সড়ক উনড়বয়ন, গ্রাম পাঠাগার, মসজিদ সহ গ্রামের আর্থসামাজিক উনড়বয়নে শিখড়ের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সাধারন মানুষের এখনো স্থাপত্যচর্চা সম্পর্কে ধারণা অত্যন্ত সীমিত। ‘শিকড়’ এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈশ্বিক পরিচিতি এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও স্থাপত্য বিষয়ক ধারণা তৈরি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান বলেন, ‘সহজ করে লিখতে আমায় কহ যে সহজ কথা যায় না বলা সহজে’ রবীন্দ্রনাথের এই লাইন গুলি আমাদের অনুপ্রেরণা। সহজ সরল স্থাপত্য নির্মাণের কঠিন কাজটি করার চেষ্টা আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের নকশা করা ভবন গুলো সহজ সরল, মিতব্যয়ী এবং পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক সচেতন। আমরা নিজেদের ‘আমজনতার স্থপতি’ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। স্থপতিরা বরাবরই উচ্চ বিত্তশ্রেণীর জন্য কাজ করে থাকে। স্থপতিদের ভাষা বেশির ভাগ সময়ই আমাদের দেশের সাধারন মানুষদের বোধগম্য হয়না। আমাদের অন্যতম চেষ্টা হল স্থাপত্যের আন্তর্জাতিক ভাষার সাথে এ দেশের সাধারন মানুষের ভাষার মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করা। আমাদের মূল গ্রাহক মত্তবিত্ত শ্রেণী যারা সারা জীবনের সঞ্চয় এর টাকায় নিজের একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপড়ব দেখে। আমরা চেষ্টা করি একজনের কষ্টের টাকায় তৈরি হওয়া বসতটির প্রতি বর্গফুটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে।

টি রিসোর্ট প্রডধান ভবন

আমরা বাহ্যিক ভাবে আকর্ষনীয় ভবনের চাইতে একটি ব্যবহারিক ভবন করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং গ্রাহকদের সন্তষ্টি আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করি।
স্থানীয় আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও পরিবেশ গত পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে চাহিদা সমসাময়িক বিশ্বস্থাপত্যের ব্যকরণে প্রকাশ করার চেষ্টা আমরা বরাবরই করে থাকি। তরুণ স্থপতিদেরকে উদ্দেশ্য করে স্থপতি নঈমুল আহসান খান বলেন, সভ্যতার বিকাশের সাথে স্থাপত্য অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত। তাই তরুণ স্থপতিদের রাজনৈতিক ও সমাজ সচেতনতা খুবই জরুরী।

স্থপতিকে হতে হবে মননে উদার, চিন্তাশীল এবং তিঘড়ব পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার অধিকারী। তরুন স্থপতি ও স্থাপত্যের ছাত্রদের বলব নিজের চার পাশটা ভালোভাবে দেখতে। বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের কথা শুনতে হবে। তাদের স্থাপত্য ভাবনা জানাটা খুবই জরুরী। সেই সাথে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে থাকা এ দেশীয় স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য গুলো জানার চেষ্টা করতে হবে। এ দেশকে তরুণ স্থপতিদের অনেক কিছুই দেয়ার আছে। তা করতে হলে বিদেশি স্থাপত্যের অনুকরণ নয় বরং স্থাপত্যের আন্তর্জাতিক ভাষাকে এদেশের সাধারন মানুষের চাহিদা ও আমাদের জলবায়ুর উপযোগীতার সাথে সমন্বয় করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করতে তরুণ স্থপতিদের আহবান জানাই। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে স্থপতি মোহাম্মদ নঈমুল আহসান খান ও স্থপতি ফারজানা রহমান বলেন, নিজেদের কাজের মাধ্যমে দেশ গঠনে অবদান রাখাই আমাদের পরিকল্পনা। ২০০৭ সালে পড়ালেখা শেষ করার পর আমাদের সুযোগ এসেছিল বিদেশ গমনের। আমরা খুব সচেতন ভাবেই এ দেশের স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এর পেছনে অনেক দেশপ্রেম ছিল তা নয়। বিশ্বাস ছিল এ দেশে থেকে এবং এখানকার মানুষদের জন্য কাজ করেও বিশ্ব দরবারে পৌঁছানো যাবে। কর্ম জীবনের শুরু থেকে আমরা সেই পরিকল্পনা সামনে রেখে কাজ করতে চেষ্টা করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি নিজের কাজটা সততার সাথে করার চেষ্টা করাটাই প্রকৃত দেশ প্রেম। চেষ্টা করছি এই দেশপ্রেমটুকু অটুট রাখতে এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি করে দেশ গঠনের কাজে অংশগ্রহণ করতে। আমাদের এখন জাতী গঠনের সময়। এদেশের শহর গুলোকে বাসযোগ্য করতে এবং গ্রামগুলোকে দূষণ মুক্তা রাখতে স্থপতিদের অনেক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সেই ভূমিকাটুকু রাখতে চেষ্টা করাই আমাদের পরিকল্পনা।

Scroll to Top